নিউ ইয়র্কে ব্যতিক্রমী নৌ-ভ্রমণ
নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গীদের সম্মানে ভিন্নধর্মী ‘নৌ-ভ্রমণ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চলমান উন্নয়ন-কার্যক্রমের ওপর একটি সেমিনার আয়োজন করে আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব। আয়োজিত সেমিনার ও ‘নৌ-ভ্রমণ’ অনুষ্ঠানে সপরিবারে ক্লাবের সদস্য এবং প্রবাসের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
চমৎকার আবহাওয়ায় ইস্ট রিভারের এ নৌ-ভ্রমণে সকলকে স্বাগত জানান ক্লাবের সেক্রেটারি দৈনিক ইত্তেফাকের বিশেষ সংবাদদাতা শহিদুল ইসলাম এবং যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ রিজু। কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুরো জাহাজ কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। জাতিসংঘের শহর নিউ ইয়র্কের ইস্ট রিভারে ভাসমান জাহাজটি পরিণত হয় এক খণ্ড বাংলাদেশে।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. এ কে এ মোমেন বলেন, এমডিজি অর্জনের পথ ধরেই বাংলাদেশ এসডিজির পথে এগিয়ে চলেছে। তবে এসডিজির যেসব ইস্যুকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে, তার বাস্তবায়নে সম্মিলিত উদ্যোগের বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে টেকসই উন্নয়নের সত্যিকারের প্রতিফলন ঘটাতে যে অর্থের প্রয়োজন তা আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মত দৃঢ়চেতা রাষ্ট্র নায়ক না হলে সে সব দেশে এসডিজি অর্জনের পথ সুগম হবে বলে মনে করি না।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ১৩ কোটিই এখন সেলফোন ব্যবহার করেন। ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি। ৩৪টি স্যাটেলাইট টিভি এবং ২৯টি রেডিও চলছে। অর্থাৎ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ চিন্তা-চেতনার পরিপূরক হিসেবে অবিস্মরণীয় উন্নয়নের মহাসড়কে ওঠেছে বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় হুইপ সেলিম উদ্দিন এমপি এবং এফবিসিসিআই-এর ফাস্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম। তারা প্রেসক্লাবের এ আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় প্রবাসীদের একাত্ম করতে এ ধরনের আয়োজনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক রেজাউল করিম রেজনুসহ প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুন অর রশীদ, ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম, নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, বাংলাদেশ ল’ সোসাইটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোর্শেদা জামান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, মনমাউথ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাথবর, পিপল এন টেকের প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিফ, বাংলাদেশি আমেরিকান ডেমক্র্যাটিক লীগের প্রেসিডেন্ট খোরশেদ খন্দকার, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও কক্সবাজার অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা নুরুল আজিম, নির্মাণ ব্যবসায়ী ও কম্যুনিটি লিডার নজরুল ইসলাম বাবুল, মোবস্বির হোসেন, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সেক্রেটারি মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, কম্যুনিটি বোর্ড মেম্বার ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Comments
Post a Comment